Lightscribers H O M E   |   M E M B E R - PALASH   |   G A L L E R Y   |   E V E N T S   |   A B O U T    

those who draws with light are “Lightscribers”

  CRIES & WHISPERS
  




This venture is an assemble of fragmented poetic images of constantly changing personal journey undertaken by a poet and a photographer on a gloomy track. The spontaneity and the warmth of life is still compelling, where the overriding impression of love for existence is not missing in the pandemonium of the renowned city of joy spelt out in the sarcasm of metropolis.

A photographer has tried to capture the present-day historiography of a city from his memory of reading a poem. This may be complex or simple or something like making a wine cascade of blending paranoid patterns from city life.

------------------------------------------------------------
Photographer – Palash Ray
Poet - Ujjal Bandyopadhyay



১.
দারুবন্দনার পাশে পড়ে আছে মধ‍্যবিত্ত অনুরাগ
তারপর কসাইখানা, আর তার ঠিক পাশে পরিত‍্যক্ত দাবাখানা
এরপর মিঠাই দোকান
এর ঠিক সামনে মাটির হাড়ি নিয়ে কুলফিওয়ালা,
পাশে একটু এগোলেই নেতাজী সংঘ ক্লাব,
দিদির ছবি ও পুলিশফাঁড়ি
 
বাঁদিকে জনগণের মেস
আর তার সামনে দু’পা ফাঁক করে দাঁড়িয়ে আছে
এ ফাঁড়ির দারোগা
 
দারোগা অপেক্ষা করছে
যে কোনও মুহূর্তে জবাইয়ের জন‍্য মুরগি এসে যেতে পারে
 
ফাঁড়ি সংলগ্ন প্রায় জীর্ণ সিনেমা হল
সস্তা ব‍্যশ‍্যাদের নিয়ে ভোজপুরী সিনেমা
দেখতে ঢুকে পড়ছে পাবলিক
  রাস্তা পেরোলেই অটোস্ট‍্যান্ড
তারপর ভি.আই.পি হাসপাতাল
সামনে বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতে
বটগাছের নিচে চা-দোকান
হতদরিদ্র জনতা বসে চা খাচ্ছে
ফাঁড়ি থেকে এসে পুলিশও চা খেয়ে যায় বিনা পয়সায়
একজন উন্মাদ চিৎকার করছে
ভদ্রলোক মানেই শুয়োরের বাচ্চা
সামনেই অফশপ মদের দোকান
অটোর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছি
সন্ধেবেলায় দীর্ঘ কিউ
 
উষ্ণতা হারানো যুবতীকে নিয়ে
অসফল প্রেমিক এসে অপেক্ষমান আমার পিছনে
হাভাতে বেশ‍্যাকে ইঙ্গিত করছে রাতের দালাল
অভুক্ত কুকুরকে খেতে দিল পথের ভিখিরি


২.
শহর ছুটে চলেছে
কোয়ান্টাম মেকানিক্‌সের তাত্ত্বিক জগতে ঢুকে পড়েছে অঙ্কের মাস্টার
ভৌতবিজ্ঞানের অনিশ্চয়তার মধ‍্যে টাল খাচ্ছে সময়
শ্রয়ডিঙ্গারের বেড়াল ঘুমিয়ে রয়েছে খাঁচায়
সৃষ্টির অভ‍্যন্তরে সেঁধিয়ে গেছে
মানবের বায়োসেনন্ট্রিক ইতিহাস
অরবিন্দের যৌগিক অজ্ঞিতা
ও ভারতীয় মায়াবাদে আমি আটকে পড়েছি
আমার সামনে আছে ধু ধু রানওয়ে
রাসকলনিকভ আর স্নাইপারের অব‍্যর্থ টারগেট


  




Ujjal Bandyopadhyay celebrates his life, up bringing, and creative stimulus in this old murky city. He, without doubt is a formidable poet in the avant-garde domain of Bengali subversive literature. His vocabulary of expression and continuous search for making the language real offers  something for all readers of poetry.

We have by him three collections of poems and two novellas within this many splendored aquarium of Bengali language. He prefers to swim across unknowingly in the decidedly hostile atmosphere, with the artists of other medium.






৩.
একটি মসৃণ শব্দের খোঁজে আর অপেক্ষা করতে পারছি না
বর্ষার সকালে কফির জন‍্য জল চাপিয়ে
মেখে নিলাম গণতান্ত্রিক ট‍্যালকম
একটি ক্লোরোফিলযুক্ত কবিতা লিখতে
দরকার চাপা সন্ত্রাস
 
তালগোল পাকানো অন্ধকার থেকে
ভেসে আসছে
মৃতশিশুদের অনুরণিত হাসি
যারা অক্সিজেনের অভাবে
ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল ভারতীয় মেনল‍্যান্ড থেকে
 
উত্তরে পুলিশ ফাঁড়ি
আর দক্ষিণে অটোস্ট‍্যান্ড
মধ‍্যে অনবরত নানা ঘটনাবহুল জীবন বয়ে যাচ্ছে
একের পর এক অটো আসছে যাচ্ছে
আমার সময় হলে আমিও উঠে চলে যাব
যেদিকে দু’চোখ যায়

৪.
আমাকে উত্তাক্ত করে একজন যে ধর্মান্ধ ও কামুক
একজন রেসিস্ট যে বিধর্মীদের গলা কেটে
ভাসিয়ে দিতে চায় জলে
চারপাশে ঘিরে ফেলে আগুন ধরিয়ে দিতে চায় বস্তিতে
আমি তার সঙ্গে ভাগ করে খাই
এক কাপ চা ও নোনতা বিস্কুট
 
একজন ভাবুক নিরীশ্বর
যিনি অধর্ম রুখে দিয়ে ঈশ্বর হয়েছেন
আমি তাকে নেতা বলে মেনে নিয়েছি
আমার চারপাশে দিনকে দিন বেড়ে চলেছে
নিরাশ্রিত চড়ুইয়ের দল
তাদের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছি সাদা ভাত
  এই অদ্ভুতড়ে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে
প্রাগৈতিহাসিক শুঁয়োপোকা
রঙিলা পারাপ্লুই উড়ে চলেছে হু হু হাওয়ায়
আমি কীভাবে এদের মধ‍্যে হেঁটে যাবো
ট্রাভেলগ হাতে নিয়ে বাওয়াল পানশালায়
 
একজন মিডিয়াকাতর কবিকে মারার জন‍্য
আমি যাকে সুপারি দিলাম
সে আগে ছিল সাট্টার পেন্‌সিলার
ট্রাফিক আলজিভে রাতকে নাচাতে নাচাতে
আমি এগিয়ে চললাম জৈবিক তাড়নায়
অলিপাবের দিকে, মদ ‍ও সাংস্কৃতিক হেজিমনিক স্তন
যারা চেটে খায়, আমি তাদের এড়িয়ে

একটু এগোতেই নেমে এল পার্কস্ট্রিটের রাত
অনেকটা লজ্জিত আইভরির মতন ঝলমলে

ওয়ান শটারের শব্দ কানে এল
ফুটপাতে পড়ে থাকলো অচেনা মৃতদেহ
পাশ দিয়ে ছুটে যাচ্ছে সাদা সাদা ক‍্যাব
অন্ধকারের ভিতরে সাইরেন বাজিয়ে
এই ফ্রেমে প্রবেশ করলো পুলিশের গাড়ি
 
মহাশূন‍্য দ্রাঘিমায় দোল খাচ্ছে সেক্সি বার ডান্সার
যাদের যোনিগর্ভে ছাতিম ফুলের গন্ধ
অসম্ভব নিঃস্বতার মধ‍্যে নেশার রাবাইয়ায়
একজন পতঙ্গভুক সাংবাদিক লিখে রাখলো
শিহরিত উপাখ‍্যানের হেডলাইন
যার কেন্দ্রবিন্দুতে কবি ও আততায়ী
 
পাইস রেস্তোরায় আরো একটু রাত বাড়লেই
খানকিদের ঝগড়া শুরু হবে
যাদের সস্তা লিপস্টিকে মিশে যাবে জর্দার গন্ধ
রিওয়াইন্ড করে ঘড়ির কাটাকে পিছনে ঘুরিয়ে দিয়ে
হাঁটুর উপর সায়া তুলে মালকিন বসে ভাবছে
খুদখুশি অথবা সাদা অপমৃত‍্যুর কথা
যখন নির্জন ঘড়ির শব্দ থামিয়ে
হত‍্যার স্বপক্ষে উন্মাদের উল্লাস শোনা যাচ্ছে
চাপা অসহ‍্য সন্ত্রাসে।


  View Story
Explore Lightscribers on facebook